empty
 
 
18.03.2025 08:19 AM
১৮ মার্চ কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার, পুনরায় GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সময় পরিলক্ষিত সর্বশেষ স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেল ব্রেক করতে সক্ষম হয়েছিল। নতুন করে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো মৌলিক কারণ না থাকাটা এখন আর অবাক করার মতো বিষয় নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল খুব একটা শক্তিশালী ছিল না, তবে এটি প্রকাশিত হওয়ার আগেই মার্কিন ডলারের দরপতন ঘটে। সামগ্রিকভাবে, ডলারের মূল্য প্রায় প্রতিদিনই কমছে। দুই সপ্তাহ আগে তীব্র দরপতনের পর, এখনও মার্কিন কারেন্সির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হয়নি। পাউন্ডের মূল্যের বর্তমান মুভমেন্ট পুরোপুরি মোমেন্টাম-নির্ভর মুভমেন্ট, এবং মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখন মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে তেমন গুরুত্ব বহন করছে না। অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন এখনো এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সংকেত দিচ্ছে, তবে দীর্ঘমেয়াদে নিম্নমুখী প্রবণতা বিদ্যমান রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার, ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে কোনো স্পষ্ট ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। দুর্ভাগ্যবশত, পরবর্তী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হওয়ার আগে পাউন্ডের কোনো বাই সিগন্যাল গঠিত হয়নি। সন্ধ্যার মধ্যে, মূল্য 1.2980-1.2991 এরিয়াতে পৌঁছায়, তবে এখানে কোনো রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট হতে দেখা যায়নি। আজ যদি এর মধ্যে কোনো সিগন্যাল তৈরি হয়, তবে সেই অনুযায়ী পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, অনেক আগেই GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়া উচিত ছিল, তবে ট্রাম্প এটি প্রতিহত করতে সম্ভাব্য সবকিছু করছেন। মধ্যমেয়াদে, আমরা এখনো 1.1800 লেভেলের দিকে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা দেখছি, তবে ট্রাম্পের কারণে মার্কিন ডলারের দরপতন কতদিন স্থায়ী হবে তা অনিশ্চিত। একবার এই মুভমেন্ট শেষ হলে, সব টাইমফ্রেমে টেকনিক্যাল পরিস্থিতি নাটকীয়ভাবে পরিবর্তিত হতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এখনো নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পুরোপুরি অযৌক্তিক নয়, তবে এটির মূল্য আবারও খুব দ্রুত এবং অতিরিক্তভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

মঙ্গলবার, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রির জন্য কোনো নির্দিষ্ট কারণ বা যৌক্তিকতা খুঁজছে না। অনেক আগেই একটি নিম্নমুখী কারেকশন হওয়ার কথা ছিল, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে ডলার কেনার ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো হলো: 1.2301, 1.2372-1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2613, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, এবং 1.3102-1.3107।

মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নেই বা কোন উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদনও প্রকাশিত হওয়ার কথা নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হবে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শুন পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত কৌশল হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.