empty
 
 
18.04.2025 08:17 AM
১৮ এপ্রিল কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোজোন, জার্মানি বা যুক্তরাজ্যে কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না। তাই, ধরে নিন মার্কেটের ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে মনোযোগ দিতে চাইলেও, আজ সেই ধরনের কোনো প্রেক্ষাপটই নেই। মার্কেটের ট্রেডাররা এখন শুধুমাত্র "ট্রাম্পের পদক্ষেপের" ভিত্তিতেই ট্রেড করছে। একই সময়ে, কোনো সুস্পষ্ট কারণ বা যুক্তি ছাড়াই ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ ছাড়া অন্য কোনো ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট নিয়ে আলোচনার খুব একটা যৌক্তিকতা নেই। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ বা বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করে যেতে থাকেন, তাহলে অনির্দিষ্টকাল পর্যন্ত ডলারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। আমরা ট্রেডারদের পরামর্শ দিচ্ছি, বড় দেশ ও জোটগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের শুল্ক সংক্রান্ত প্রকাশ্য বিবৃতি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। উদাহরণস্বরূপ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় সামান্য অগ্রগতি অর্জনের কথা জানিয়েছে। তবে এই "সামান্য অগ্রগতি" ডলারকে তেমন কোনো সহায়তা প্রদান করতে পারবে না।

ট্রাম্প নিজেও সেমিকন্ডাক্টরের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছেন, যা বিশ্বের অনেক দেশকে প্রভাবিত করবে। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দ্বন্দ্ব এখনো অমীমাংসিত, এবং সেটিই এখনো মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে প্রধান গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি, ট্রাম্প আবারও সুদের হার কমানোর জন্য ফেডারেল রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন, এমনকি জেরোম পাওয়েলকে বরখাস্তের হুমকিও দিচ্ছেন—যদিও তার হাতে সেই ক্ষমতা নেই। বুধবার রাতে ফেডের চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, সুদের হার কমানোর জন্য সুস্পষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রয়োজন, যা বর্তমানে অনুপস্থিত।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য যেকোনো দিকেই মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। যেমনটা আমরা দেখছি, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য স্থিতিশীলভাবে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ধরে রেখেছে, অপরদিকে ইউরোর মূল্যের মুভমেন্ট একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জের মধ্যেই আটকে রয়েছে। আজকের একমাত্র সম্ভাব্য প্রভাবক হচ্ছে হোয়াইট হাউস থেকে নতুন কোন ঘোষণা। যদি ট্রাম্পের পক্ষ থেকে নতুন কোনো ঘোষণা না আসে, তাহলে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের প্রবণতায় তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.