empty
 
 
19.05.2025 07:49 AM
১৯ মে কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

সোমবার খুবই অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে ইউরোজোনের এপ্রিল মাসের ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI)-এর দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে, যা তিনটি কারণে মার্কেটের ট্রেডারদের কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। প্রথমত, ট্রেডাররা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটকে ব্যাপকভাবে উপেক্ষা করছে। দ্বিতীয়ত, এটি ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI-এর দ্বিতীয় অনুমান, যা প্রথম অনুমানের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয়ত, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ইসিবি) মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থান ইতোমধ্যেই বেশ স্পষ্ট। ভোক্তা মূল্য সূচক বা CPI মূলত ইসিবির সুদের হারের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলার কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে না।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট হিসেবে আজ ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তাদের (বস্টিক, জেফারসন, উইলিয়ামস, লোগান এবং কাশকারি) বক্তব্য অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, এসব বক্তব্যের আদৌ কী গুরুত্ব থাকতে পারে যদি এই সপ্তাহেই জেরোম পাওয়েল পুনরায় বলে থাকেন যে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়তে পারে এবং এখনই সুদের হার কমানোর প্রয়োজন নেই?

আমাদের মতে, এখনো ট্রেডাররা কেবলমাত্র বাণিজ্য যুদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সেই ধরনের খবরগুলোকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে, যা ডলার বিক্রির যৌক্তিক কারণ প্রদান করে। বাণিজ্য সংঘাতে আপাতত বিরতি দেখা যাচ্ছে এবং ট্রাম্প এখনো একের পর এক বাণিজ্য চুক্তির ঘোষণা দিয়ে চলেছেন, তবে এই তথ্যগুলো ডলারকে সীমিত মাত্রায় সহায়তা প্রদান করছে। যদি ট্রাম্প নতুন করে শুল্ক আরোপ করেন, বিদ্যমান শুল্ক বৃদ্ধি করেন অথবা অধিকাংশ দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যর্থ হন, তবে আবারও ডলারের দরপতন শুরু হতে পারে। তবে বর্তমানে বাণিজ্য উত্তেজনা প্রশমনের চলমান প্রক্রিয়া অন্তত মাঝে মাঝে হলেও মার্কিন ডলারকে সমর্থন যোগাতে পারে। যদিও স্বীকার করতে হবে, ডলারের প্রতি ট্রেডারদের সামগ্রিক মনোভাব এখনো অত্যন্ত নেতিবাচক, যার ফলে ডলারের মূল্যের শক্তিশালী ও স্থায়ী বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। ইউরোর মূল্য এখনো ধীরে ধীরে বাড়ছে, কিন্তু পাউন্ডের মূল্য এখনো স্থির অবস্থায় রয়েছে।

This image is no longer relevant

উপসংহার:

নতুন সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD এবং GBP/USD উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যই যেকোনো দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে পারে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব তেমন থাকবে না এবং কখন ট্রাম্পের কাছ থেকে নতুন কোনো প্রভাবশালী মন্তব্য আসবে, তা আগে থেকে অনুমান করা অসম্ভব। আমরা মনে করি আজ মার্কেটে ধীরগতি ও ফ্ল্যাট মুভমেন্টের সাথে ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যাবে। শুধুমাত্র শক্তিশালী টেকনিক্যাল সিগন্যালের ভিত্তিতে ট্রেডিং করা যুক্তিযুক্ত হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন ওপেন করা হয় (যা টেক প্রফিট ট্রিগার করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ভুল সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যাল নাও গঠিত হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: উদ্দেশ্যমূলক দিকে মূল্যের 15 পিপস মুভমেন্ট হওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। চলমান প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেট থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.