empty
 
 
11.12.2025 08:01 AM
১১ ডিসেম্বর কীভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ ও বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে, যেখানে মৌলিক প্রেক্ষাপট প্রায় অনুরূপ ছিল। তবে এটি উল্লেখযোগ্য যে,ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ও জেরোম পাওয়েলের ভাষণের আগে থেকেই ব্রিটিশ কারেন্সির দর বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছিল। তাই, পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে এবং এই প্রবণতা আরও গতিশীল হচ্ছে। অবশেষে মার্কেটের ট্রেডাররা ডলার বিক্রির মাধ্যমে ফেডের মুদ্রানীতি নমনীয়করণের প্রতি প্রত্যাশিতভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। এমনকি ২০২৬ সালের শুরুতে সুদের হার হ্রাসে বিরতির ঘোষণাও ট্রেডারদের মার্কিন ডলার বিক্রি থেকে বিরত রাখতে পারেনি। আমরা বহুদিন ধরেই বৈশ্বিক পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলে আসছি এবং এখনো আমরা বিশ্বাস করি, মধ্যমেয়াদে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির পক্ষে কোনো মৌলিক ভিত্তি নেই। মোটের উপর, ফেডের "ডোভিশ বা নমনীয়" অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত ও পরবর্তীতে "নিরপেক্ষ থাকার" আশ্বাসের প্রেক্ষিতে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট একটি ইতিবাচক সংকেত, যা ভবিষ্যতেও একই ধরণের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে সহায়ক হবে। গত পাঁচ মাস ধরে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হয়েছে এবং আমাদের মতে, এটা যথেষ্ট ছিল।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। শুরুতে এই পেয়ারের মূল্য 1.3319–1.3331 রেঞ্জ থেকে বাউন্স করলেও সেই সিগন্যালটি কার্যকর হয়নি, কারণ ২০ পিপস পর্যন্ত দরপতন হয়নি। তবে, মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় যখন এই পেয়ারের মূল্য 1.3319–1.3331 রেঞ্জ ব্রেক কওরে ঊর্ধ্বমুখী হয়, তখন এটি নতুন ট্রেডারদের জন্য আগেভাগে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ সৃষ্টি করে। ফেডের সিদ্ধান্ত ঘোষণার সময় ট্রেডাররা এন্ট্রি পয়েন্টের কাছাকাছি স্টপ লস সেট করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে পারতেন। এরপর এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়।

বৃহস্পতিবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও স্থানীয় পর্যায়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা গঠিত হচ্ছে। আমরা আগেই বলেছি, বর্তমানে মধ্যমেয়াদে বৈশ্বিক পর্যায়ে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য তেমন কোনো ভিত্তি নেই, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের প্রত্যাশাই করছি। সামগ্রিকভাবে, আমরা ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে বলে ধারণা করছি, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্য 1.4000 লেভেল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।

বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা বুধবারের বাই সিগন্যালের ভিত্তিতে তাদের লং পজিশন হোল্ড করে রাখতে পারে। এক্ষেত্রে মূল্যের 1.3413-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। আবার, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3319–1.3331 এরিয়া থেকে বাউন্স করে, তাহলে নতুন লং পজিশনের কথা ভাবা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি মূল্য এই লেভেলের নিচে স্থিতিশীল হয়, তাহলে মূল্যের 1.3259–1.3267 লেভেলের দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যুক্তিযুক্ত হবে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3096-1.3107, 1.3203-1.3212, 1.3259-1.3267, 1.3319-1.3331, 1.3413-1.3421, 1.3466-1.3475, 1.3529-1.3543, 1.3574-1.3590। বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্য বা যুক্তরাষ্ট্রে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে ফেডের বৈঠকের ফলাফল এখনও মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারে। সার্বিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার চেয়ে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনাই বেশি।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.