empty
 
 
12.12.2025 07:16 AM
১২ ডিসেম্বর কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য ট্রেডিংয়ের সহজ পরামর্শ ও বিশ্লেষণ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পর্যালোচনা:

EUR/USD পেয়ারের 1-ঘন্টার চার্ট

This image is no longer relevant

বুধবার সন্ধ্যায় ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। মনে করিয়ে দেই, ফেডের বছরের শেষ বৈঠকের ফলাফলকে পুরোপুরিভাবে "ডোভিশ বা নমনীয়" বলা যায় না। ফেড সুদের হার কমালেও ২০২৬ সালে সুদের হার হ্রাসের ক্ষেত্রে কার্যত দীর্ঘমেয়াদি বিরতির ঘোষণা দিয়েছে। আগামী বছরের কেবলমাত্র একবার মুদ্রানীতি নমনীয়করণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা মার্কিন ডলারের জন্য ইতিবাচক সংবাদ। তবুও, এবারে মার্কেটের ট্রেডাররা এমনভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে যেন ফেড ৪–৫ বার সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য যে, আগের দুটি বৈঠকেও ফেড সুদের হার হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, এবং এরপরই ডলারের দর বৃদ্ধি পায়। তাই বর্তমানে মার্কিন কারেন্সির দরপতন মূলত দৈনিক টাইমফ্রেমে চলমান ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক ট্রেডিংয়ের সাথে সম্পর্কিত। এই পেয়ারের মূল্য 1.1400–1.1830-এর সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্নসীমা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, তাই ফেডের বৈঠকের আগেই এই চ্যানেলের উপরের সীমার দিকে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা অনুমান করা যেত। দীর্ঘমেয়াদে, আমরা ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত বৈশ্বিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে বলে আশাবাদী, যেখানে এই পেয়ারের মূল্য 1.1800 লেভেল ব্রেক করলে আরও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ধারাবাহিকতা দেখা যেতে পারে।

EUR/USD 5M পেয়ারের চার্ট

This image is no longer relevant

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, গতকাল মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় প্রথম ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। এই পেয়ারের মূল্য 1.1745–1.1754 রেজিস্ট্যান্স এরিয়াতে পৌঁছায়, কিন্তু এরপর আর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রাখতে পারেনি। শুক্রবার সকালে, এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া থেকে বাউন্স করেছে। এর আগের বাই সিগন্যালটি বুধবার সন্ধ্যায় গঠিত হয়েছিল। যারা এই সিগন্যালের ভিত্তিতে লং পজিশন ওপেন করেছিলেন, তারা প্রায় 60 পিপস মুনাফা অর্জন করতে সক্ষম হন।

শুক্রবার কীভাবে ট্রেডিং করতে হবে:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, যদিও এই সপ্তাহে মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করেছে। মার্কিন ডলারের জন্য সামগ্রিক মৌলিক ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট এখনও বেশ নেতিবাচক, তাই আমরা এই পেয়ারের আরও মূল্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছি। এমনকি টেকনিক্যাল বিষয়গুলো এ মুহূর্তে ইউরোকে সহায়তা করছে, কারণ দৈনিক টাইমফ্রেমে ফ্ল্যাট রেঞ্জভিত্তিক ট্রেডিং এখনো চলমান রয়েছে এবং এই রেঞ্জের নিম্নসীমা থেকে মূল্য বিপরীতমুখী হওয়ার পরে উপরের সীমার দিকে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির আশা করা যায়।

শুক্রবার নতুন ট্রেডাররা 1.1745–1.1754 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারেন। যদি মূল্য এই এরিয়া থেকে বাউন্স করে, তাহলে মূল্যের 1.1655–1.1666-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। অন্যদিকে, যদি এই লেভেলের উপরে মূল্যের কনসলিডেশন হয়, তাহলে মূল্যের 1.1808-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করার সুযোগ পাওয়া যাবে।

৫-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো 1.1354-1.1363, 1.1413, 1.1455-1.1474, 1.1527-1.1531, 1.1550, 1.1584-1.1591, 1.1655-1.1666, 1.1745-1.1754, 1.1808, 1.1851, 1.1908, 1.1970-1.1988। শুক্রবার ইউরোজোন ও যুক্তরাষ্ট্রে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই কিংবা কোনো প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে না। শুধুমাত্র জার্মানিতে নভেম্বর মাসের মুদ্রাস্ফীতির অনুমান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ফলে, আজ মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করতে পারে এবং সম্পূর্ণরূপে টেকনিক্যাল বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

  1. সিগনালের শক্তি: যত দ্রুত একটি সিগন্যাল (রিবাউন্ড বা ব্রেকআউট) গঠিত হয়, সিগন্যালটিকে ততই শক্তিশালী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
  2. ভুল সিগন্যাল: যদি কোনো লেভেলের কাছে দুই বা ততোধিক ভুল ট্রেডিং সিগনাল গঠিত হয়, তাহলে ঐ লেভেল থেকে প্রাপ্ত পরবর্তী সিগন্যালগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত।
  3. ফ্ল্যাট মার্কেট: যখন মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা যায়, তখন পেয়ারগুলোতে একাধিক ভুল সিগন্যাল গঠিত হতে পারে অথবা কোনো সিগন্যাল না-ও গঠিত হতে পারে। মার্কেটে ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়ামাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।
  4. ট্রেডিংয়ের সময়সূচী: ইউরোপীয় সেশন শুরু থেকে মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ট্রেড ওপেন করুন এবং এরপর সকল ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করে ফেলুন।
  5. MACD সিগন্যাল: ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে কেবল সেই MACD সিগন্যালগুলোর ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করুন, যেগুলো উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা এবং ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেলের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া প্রবণতা হিসেবে বিবেচিত।
  6. নিকটতম লেভেল: যদি দুটি লেভেল খুব কাছাকাছি (৫–২০ পিপসের মধ্যে) অবস্থিত হয়, তাহলে সেগুলোকে সাপোর্ট বা রেজিস্ট্যান্স জোন হিসেবে বিবেচনা করুন।
  7. স্টপ লস: মূল্য কাঙ্ক্ষিত দিকের দিকে ১৫ পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করলে, ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করুন। এতে করে ভুল সিগন্যালের কারণে লোকসানের ঝুঁকি কমে আসে।

চার্টে কী কী রয়েছে:

  • সাপোর্ট ও রেজিস্ট্যান্স লেভেল: এই লেভেলগুলো পজিশন ওপেন বা ক্লোজ করার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে কাজ করে এবং টেক প্রফিট সেট করার ক্ষেত্রেও উপযোগী।
  • লাল লাইনসমূহ: চ্যানেল বা ট্রেন্ডলাইন, যা বর্তমান প্রবণতা এবং ট্রেডের সম্ভাব্য দিকনির্দেশনা প্রদান করে।
  • MACD ইনডিকেটর (14,22,3): হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন বিশ্লেষণের জন্য একটি অতিরিক্ত ট্রেডিং সিগন্যালের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।

ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Recommended Stories

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.