আরও দেখুন
বৃহস্পতিবার ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের মধ্যেই GBP/USD পেয়ারের মূল্য়ের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত ছিল। আগের বিশ্লেষণগুলোতে আমরা উল্লেখ করেছিলাম যে, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি ইভেন্টের পরে মার্কেটে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সেই প্রভাব থাকতে পারে। এবারে মার্কেটে কোনো বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা যায়নি, সার্বিকভাবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকের ফলাফলের প্রতি মার্কেটের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া তেমন জোরালো ছিল না। বরং GBP/USD পেয়ারের মূল্য পুনরায় তিন সপ্তাহ ধরে গঠিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অনুসরণ করেছে। আমরা পূর্বেই সতর্ক করেছিলাম যে, দৈনিক টাইমফ্রেমে প্রায় পাঁচ মাসব্যাপী কারেকশন পর ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য পুনরায় বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে, ফেডের বৈঠকের ফলাফলের তোয়াক্কা না করেই আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রত্যাশা করছি। এই সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, শুধুমাত্র শুক্রবার সকালে যুক্তরাজ্যে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। তবে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে মূল সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাও রয়েছে।
৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বৃহস্পতিবার মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় ট্রেডিং সিগন্যালগুলো গঠিত হয়। এই পেয়ারের মূল্য প্রথমে নিচ থেকে উপরে গিয়ে 1.3413–1.3421 এরিয়া অতিক্রম করে, এরপর আবার উপরের দিক থেকে এই লেভেলের নিচে নেমে আসে। প্রথম সিগন্যালটি ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছিল, তবে বুধবার সন্ধ্যায় 1.3319–1.3331 এরিয়া থেকে পূর্বেই লং পজিশন ওপেন করা উচিত ছিল। যদি কেউ তা করে থাকেন তাহলে সেল সিগন্যালটি কাজে লাগানো সম্ভব ছিল।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে এখনও স্থানীয় পর্যায়ে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার গঠন অব্যাহত রয়েছে। আমরা আগেই বলেছিলাম, মধ্যমেয়াদে মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক পর্যায়ে কোনো কারণ বিদ্যমান নেই, ফলে আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতারই প্রত্যাশা করছি। সামগ্রিকভাবে, আমরা ২০২৫ সালে পরিলক্ষিত ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার প্রত্যাশা করছি, যা আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যকে 1.4000 লেভেল পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে।
শুক্রবার নতুন ট্রেডাররা গতকাল গঠিত সেল সিগন্যালের ভিত্তিতে শর্ট পজিশন হোল্ড করে রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে মূল্যের 1.3331-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে। তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের সেই লেভেলে দরপতনের সম্ভাবনা কম, কারণ মার্কেটে এখনো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.3413–1.3421 এরিয়ার উপরে কনসলিডেট করে, তাহলে মূল্যের 1.3466-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে।
৫-মিনিট টাইমফ্রেমে বর্তমানে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.2913, 1.2980–1.2993, 1.3043, 1.3096–1.3107, 1.3203–1.3212, 1.3259–1.3267, 1.3319–1.3331, 1.3413–1.3421, 1.3466–1.3475, 1.3529–1.3543, 1.3574–1.3590। শুক্রবার যুক্তরাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ মাসিক জিডিপি প্রতিবেদন ও শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমাদের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রতিবেদনটি মার্কেটে স্বল্প মাত্রার প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে, তবে সামগ্রিকভাবে এই দুটি প্রতিবেদনের ফলাফল GBP/USD পেয়ারের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম।
নতুন ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট ও প্রতিবেদন: এই তথ্যগুলো অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যায় এবং মূল্যের মুভমেন্টে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন বা মার্কেট থেকে বেরিয়ে আসুন, যাতে হঠাৎ করে মূল্যের রিভার্সাল বা বিপরীতমুখী হওয়ার প্রবণতা এড়ানো যায়।
ফরেক্স ট্রেডিংয়ে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখতে হবে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হবে না। দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ে সফলতা অর্জনের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ এবং সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।